সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যেটির কারণ ব্যাখ্যা করা বেশ কঠিন। জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল স্পষ্টভাবেই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে (যদিও এটি মার্কেটের প্রধান ট্রেডারদের নিজস্ব তথ্যের দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে), কিন্তু পাউন্ড স্টার্লিংয়ের জন্য এমন কোন সুস্পষ্ট কারণ ছিল না। এর ফলে, টানা তৃতীয় দিন ধরে ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনের কারণ খুঁজছেন। পাউন্ডের মূল্য ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট অনুসরণ করতে পারে, বা এটি মার্কিন ডলার সম্পর্কিত হতে পারে, যেখানে প্রধান ট্রেডাররা লং পজিশন ক্লোজ করতে শুরু করেছে। তবে সঠিক কারণ এখনও অস্পষ্ট। বর্তমানে, মূল্য 1.2502 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল ব্রেক করে ফেলেছে, এখান থেকে মূল্য এর আগে ছয়বার উপরের দিক থেকে বাউন্স করেছিল। এই ব্রেকথ্রু এই ইঙ্গিত দেয় যে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আজও অব্যাহত থাকতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্য 1.2445 লেভেল ব্রেক করে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার একটি সুযোগ দেয়। কিছুক্ষণ পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2502-1.2508 রেঞ্জ ব্রেক করে যায়, এবং আধাঘণ্টার মধ্যে মূল্য 1.2547 লেভেলে পৌঁছে তিনবার রিবাউন্ড করে। এই সময়ে, ট্রেডাররা তাদের লং পজিশন ক্লোজ করে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। পরে, মূল্য 1.2502-1.2508 রেঞ্জের নিচে ফিরে যায়, যার ফলে মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দেয়। এই রেঞ্জেও ট্রেডাররা তাদের শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে পারতেন। উভয় ট্রেডই লাভজনক ছিল।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ছুটিজনিত ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের মূল প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা আশা করছি যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। অতএব, ট্রেডারদের প্রধানত এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রত্যাশা করা উচিত, এবং টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড (BoE) এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) বৈঠকের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে, নতুন করে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হতে পারে।
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে এবং মূল্য 1.2613 লেভেলে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা পাউন্ডের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি না।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো প্রাসঙ্গিক হবে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে কোন বড় ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই। তবে, পাউন্ডের মূল্য ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট অনুসরণ করতে পারে, যেমনটি এটি গতকাল করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে: ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI এবং JOLTs জব ওপেনিং।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।